মেদিনীমণ্ডল ইউনিয়নের কান্দিপাড়া গ্রামে অবস্থিত
ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক এ মাওয়া চৌরাস্তা হইতে পশ্চিম পাশ্বে পুরাতন ফেরী ঘাট এর পাশ দিয়ে চলে যাওয়া যাবে মাওয়া রিসোর্ট। মাওয়া চৌরাস্তা থেকে মাওয়া রিসোর্ট এ অটোরিক্সায় ভাড়া ২০/৩০ টাকা হবে।
মোঃ নাসিম
মোবাইল নম্বরঃ ০১৭১১০৫৭৯৪৭
মাওয়া রিসোর্ট
মুন্সীগঞ্জ জেলার মেদিনীমণ্ডল ইউনিয়নে অবস্থিত একটি অন্যতম জনপ্রিয় একটি পর্যটন কেন্দ্র। পদ্মা সেতুর কোলঘেসা হওয়ায় ধীরে ধীরে পর্যটকদের নিকট এটি আরো জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
ইতিহাসঃ
লৌহজংয়ে এবার অন্য রকম এক পরিবেশে তৈরি হয়েছে একটি রিসোর্ট সেন্টার। প্রকৃতির সৌন্দর্য আর নির্জন পরিবেশপ্রেমীদের জন্য ‘মাওয়া রিসোর্ট’ নামের এ পর্যটক কেন্দ্রটি এখন শুধু আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন বাকি। রিসোর্ট সেন্টারটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন না হলেও ইতোমধ্যে পর্যটকের আনাগোনা শুরু হয়ে গেছে। পয়লা বৈশাখ এখানে পর্যটকদের ঢল নেমেছিল। প্রতিদিন এটি দেখতে কমবেশি পর্যটক ছুটে আসছেন এখানে। ঢাকা থেকে মাত্র ৩৮ কিলোমিটার দক্ষিণে বিক্রমপুরের লৌহজং উপজেলার মাওয়া ১নং ফেরিঘাট হতে সামান্য দক্ষিণে মাওয়া-ভাগ্যকুল রাস্তার কান্দিপাড়া গ্রামে নির্মিত এ রিসোর্ট সেন্টারটি যেন প্রকৃতির নৈসর্গিক সৌন্দর্যমত একটি অন্য রকম পর্যটন কেন্দ্র। নির্জন পরিবেশ আর সবুজে ঘেরা চতুর্দিক যেন পর্যটকদের মন কেড়ে নেয়। পর্যটন কেন্দ্রটি প্রধান ফটকে ঢুকতেই নজরে পড়ে বিশাল এক দীঘি (পুকুর)। দীঘির চারদিকে সারি সারি নারিকেল আর সুপারি গাছ পর্যটকদের হাত ছানি দিয়ে ডাকে তার সৌন্দর্য দেখতে। দীঘিতে রয়েছে দুটি বাঁধানো পাকা ঘাট। দীঘিতে ঘুরে বেড়াতে রয়েছে আধুনিক বোট। দীঘির পার ধরে বাম দিকে এগিয়ে গিয়ে আবার ডানে গেলে হাতের বামে পড়বে একটি ক্যাফেটেরিয়া।
পর্যটকদের চাহিদামতো খাবার পাওয়া যায় এ ক্যাফেটেরিয়ায়। পুকুরের পূর্ব প্রান্তে পর্যটকদের থাকার জন্য রয়েছে সারি সারি বেশ কয়েকটি কটেজ। পর্যটকদের থাকার জন্য মোট ১১টি কটেজ রয়েছে। ৫টি সিঙ্গেল ৪টি ডাবল ও একটি সুইট রয়েছে এখানে। তবে কটেজে যাবার সময় সাদা আর সবুজ রঙের কাঠের পুলটি পর্যটন কেন্দ্রটির সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। পিকনিক ও ছবির শূটিং করার জন্যও এটি হতে পারে একটি অনন্য স্থান। রিসোর্টের কটেজগুলো ইটের দেয়ালে তৈরি করা হলেও এতে ছাদ না দিয়ে গ্রামের স্বাদ দিতে গোলপাতা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে চাল। বাঁশের চটা দিয়ে নানান আলপনা তৈরি করা সিলিং পর্যটকদের মন কেড়ে নেবে। ভেতরে আধুনিক আসবাবপত্র, বাথরুম আর টাইলসের মেঝে দেখে মনে হয় এ যেন কোন ফাইভ স্টার হোটেল।
সবুজে ঘেরা পুকুর পাড়ে বসে পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং এই রিসোর্টের প্রতিষ্ঠাতা মালিক আবুল কাশেম হাওলাদার জানান, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সাপ্তাহিক ছুটির দিনসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদিতে সময় কাটাতেই নিজেই গ্রামের এই বাড়িটিকে মনের মতো করে তৈরি করার চেষ্টা করি। চাকরিকালীন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় দীঘি দেখে নিজের একটি বাঁধানো দীঘির স্বপ্ন দেখি। সেই থেকে আস্তে আস্তে নিজের গ্রামের বাড়িটিকেই বেছে নেই নিজেদের খামারবাড়ি হিসেবে তৈরি করতে। এখন এটি এমন একটা সৌন্দর্য লাভ করেছে যে, বন্ধু-বান্ধব আর স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কথায় এটিকে ব্যবসায়িকভাবে রিসোর্ট সেন্টারে রূপ দিয়েছি। রিসোর্টাটির আরেক মালিক মোশারফ হোসেন জানান, পদ্মার চরে একটি রিসোট সেন্টার করার চিন্তা-ভাবনা করেছিলাম। কিন্তু কাশেম সাহেবের অনুরোধে তার ব্যবসায়িক পার্টনার হয়ে চর এলাকা বাদ দিয়ে এটির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে পর্যটকদের জন্য প্রস্তুত করেছি।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS